সুসাস্থ্য

Bad Habits : সাবধান! আপনার অজান্তেই হচ্ছে মস্তিষ্কের চরম ক্ষতি, রইল এমন ৪টি বদঅভ্যাস

কথায় বলে মানুষ অভ্যাসের দাস! প্রতিদিন কিছু অভ্যেস নিয়েই আমরা এগিয়ে চলি। যার মধ্যে কিছু অভ্যাস ভালো হলেও কিছু বদভ্যাসও (Bad Habit) বটে। কিছু বদভ্যাসের সাথে আমরা জেনে শুনেই জড়িয়ে যাই। আবার কিছু বদ অভ্যাস থাকে যেগুলো আমাদের অজান্তেই আমাদের সাথে জড়িয়ে থাকে। রোজকার দিনে এমন কিছু অভ্যেস আমাদের মস্তিষ্কের চরম ক্ষতি করে ফেলতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলা প্রতিদিনের বদ অভ্যাসগুলি (Bad Habits that are effecting our brain) –

১. বেশি ঘুমানো (Sleep) এবং কম ঘুমানো দুই স্বাস্থের পক্ষে একই ভাবে ক্ষতিকর। দিনে যেমন ৮ ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুমানো উচিৎ নয় তেমনি ৬ ঘন্টার কম ও ঘুমানো কিন্তু মোটেই উচিত নয়। এতে অল্প বয়সেই স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে। যদি রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয় তাহলে সন্ধ্যে থেকেই চা কফি মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন। কারণ এটা একপ্রকার বদ অভ্যাস (bad habits) বলা চলে। শুধু তাই নয়, রোজ একই সময়ে ঘুমাতে যাবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠবেন।

Bad Habits of over sleeping

২. মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, অর্থাৎ বেঁচে থাকতে গেলে সঙ্গীর থাকা প্রয়োজন। তাই একা একা থাকার অভ্যেস করবেন না।  কারোর সাথে কথাবার্তা না বলে, আপনি যদি নিজেকে একা রাখেন তাহলে আপননি ডিপ্রেশনের (Depression) শিকার হতে পারে। এই কারণে নিজেকে একাকী না করে লোকজনের সাথে মেলামেশা (Socialize) করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ হয়ে ১ মাসেই গজাবে ঘন কালো চুল! রইল ম্যাজিকের মত কাজ করা ৩টি সিক্রেট টিপস

৩. অনেকেই হেডফোনে উচ্চস্বরে গান শোনা (Loud Music) পছন্দ করেন। তবে এতে আপনার শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, মস্তিষ্কের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সাথে মনোযোগেও ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়াও আপনার অবজারভেশন পাওয়ার ধীরে ধীরে নষ্ট হতে শুরু করে। যার ফলে আপনি আশেপাশের ঘটনা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করে উঠতে পারেন না। এই বদ অভ্যাসের থেকে নিজে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

৪. ছোট থেকেই সকলের মুখ থেকে শুনে আসছি সকলে যে শরীরচর্চা (Exercises) করা উচিত। এতে যেমন আপনার শরীর সুস্থ ও ফিট থাকে তেমনি আপনার মস্তিষ্কও সুস্থ থাকে। তাই যেকোনো ধরণের যোগা, শরীর চর্চা আপনার মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সহায়তা করবে।

৫. অনেকেই মাঝে মধ্যে একটু একাকী অন্ধকারে থাকতে পছন্দ করেন। কিন্ত বেশি অন্ধকারের মধ্যে থাকা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। এতে বিষন্নতা চেপে ধরে। আর মনের মধ্যে বিষন্নতা তৈরী হলে পরোক্ষভাবে সেটা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। তাই অন্ধকারে না থেকে আলোর মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button