এই পুজোয় চুল স্ট্রেট করবেন ভাবছেন? জেনে নিন সাইড এফেক্ট

বর্তমানে পুজোয় হেয়ার স্ট্রেটনিং (Hair Straigntning)) এবং হেয়ার স্মূথনিং করানোটা যেন ট্রেন্ড হয়ে গেছে। পুজোর আগে অনেকেই পার্লার থেকে চুল স্ট্রেট করে আসেন। প্রথম দিকে চুলের এই নতুন রূপ বেশ ভালো লাগলেও সময়ের সাথে এর অবস্থার অবনতি শুরু হয়। একবার চুল স্ট্রেট করলে চুলের কতটা ক্ষতি হয় তা আগে থেকে আন্দাজ করা যায় না। তাই জেনে রাখুন চুল স্ট্রেট করলে আপনার চুলে কি কি সমস্যা হতে পারে!১. চুল শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া (Dry Hair) : নিয়মিত চুলে হেয়ার স্ট্রেটনিং (Hair Straigntning), ফ্ল্যাট আয়রন, হেয়ার ড্রায়ারের মতো হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করলে এবং কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করালে চুলের ন্যাচারাল অয়েল নষ্ট হয় এবং চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এছাড়া, চুল পড়া, অকালে পেকে যাওয়ার মত সমস্যাও তৈরি হয়। এবং ক্রমাগতই চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়।
২. চুলের ডগা ফেটে যাওয়া (Hair split ends) : পার্লার থেকে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে চুল স্ট্রেইট করালে চুল অতিরিক্ত শুষ্ক এবং দুর্বল হয়ে যায়। আর দুর্বল চুল মাঝখান থেকে ভাঙতে শুরু করে।
৩. চুল নিস্তেজ হয়ে যাওয়া (lifeless hair) : উজ্জ্বল ও সুন্দর চুলের জন্য স্ক্যাল্পের ন্যাচারাল অয়েল এবং চুলের আর্দ্রতা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু চুল স্ট্রেট করালে এই দু’টি উপাদানের অভাব দেখা দেয়, ফলে চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চুলের উজ্জ্বলতা চলে যায় এবং চুলকে অনুজ্জ্বল দেখায়।
৪. চুল পড়া (Hair Fall) : চুল কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করালে চুলের পাশাপাশি চুলের ফলিকলেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর, চুল স্থায়ী ভাবে সোজা করতে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেটি চুলের গোড়ার ক্ষতি করে, ফলে চুল পড়তে শুরু করে এবং চুল পাতলা হয়ে যায়।
৫. স্ক্যাল্পে চুলকানি ও চুল বৃদ্ধি না পাওয়া (Hair growth problems) : চুল স্ট্রেটনিংয়ের (Hair Straigntning) ফলে চুলের ফলিকলের ক্ষতি হয়। যার জন্য স্ক্যাল্পে তেলের উৎপাদন কমে যায়। ফলে স্ক্যাল্প রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়, চামড়া উঠতে থাকে এবং ক্রমাগত চুলকানি হতে থাকে। এরই সাথে চুল বৃদ্ধি পাওয়াও কমে যায়। বার বার এরকম ট্রিটমেন্ট করালে চুল আর একদমই বৃদ্ধি পায় না।